ঔষধার্থে ব্যবহার্য অংশঃ পত্র গাছ ও মূল ।
ক্রিমি রোগে : নয়নতারার সমগ্র গাছ সিদ্ধ করে সেই ক্বাথটা যোগগুলির বিধি অনুযায়ী ৫/৬ দিন সেবন করলে ক্রিমির উপদ্রবটা কমে গিয়ে অন্যান্য উপসর্গ্গুলির উল্লেখযোগ্য ভাবে কমতে থাকবে। তারপর আরও ৮/১০ দিন ঐ ভাবে খেলে এর হাত থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে।
মেধাহ্রাসে : কথাটা সরল হলে ও সহজবোধ্য নয়, চলতি কথায় যদি বলা যায় ব্রেন টনিক খাওয়া দরকার কারণ এ প্রায়ই ভুলে যায়, সামান্য চিন্তাতেই মাথা ধরে, ঝিমিয়ে পড়ে এমনি ধরনের কিন্তু মেধার তো একটা কাজ নয় ,মাত্র তিনটি গ্রহণ শক্তি ধারণ শক্তি এবং স্ঞ্চালন শক্তি। এ তিনটি শক্তি তো এককালে সবার থাকতে পারে না। যেক্ষেত্রে দেখা যায় মেধার গ্রহণ শক্তি ও সঞ্চালন শক্তি ঠিক আছে, কিন্তু ধারণা শক্তি ক্রমশ কমছে সেক্ষেত্রে খুব দ্রুত ফল পাওয়া যায় এই নয়নতারা ভেষজটি ব্যবহার করলে। মাস খানেক নিয়মিত খাওয়া দরকার।
লিউকেমিয়া রোগে : এটি একটি অসাধ্যের পর্যায়ভুক্ত রোগ। এই ক্ষেত্রে নয়নতারা ভেষজটির ব্যবহার রোগটিকে প্রতিহত করতে সাহায্য করে।
মধুমেহ রোগে : রক্তপরীক্ষায় দেখা যায় রক্তে চিনির ভাগ বেশী থাকে। এই ক্ষেত্রে নয়নতারা ভেষজটির ক্বাথ কেলে রক্তে চিনির পরিমাণ দ্রুত কমতে থাকে ।
সন্ধিবাত : গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা তাতে ফোলা বা প্রদাহ কিছুই নাই, এই যে ক্ষেত্র, একেত্রে কাচা বা শুকনো নয়নতারার ক্বাথ তিল তেলের সঙ্গে পাক করে ব্যবহার করলে যন্ত্রণার উপশম হয় ।
Leave a Reply