যে যে উপায়ে খাটি মধু চেনা যায়
প্রাচীনকাল থেকেই ঔষধ হিসেবে মধু ব্যবহৃত হয়ে আসছে।খাটি মধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মধু খাওয়ার উপকারিতা আমাদের সকলের জানা।
মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, ভিটামিন ও এনজাইম যা শরীরকে বিভিন্ন অসুখ বিসুখ থেকে রক্ষা করে। এছাড়া প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু খেলে ঠাণ্ডা, কফ, কাশি ইত্যাদি সমস্যা কমে যায়।
মধুর সাথে দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে তা রক্তনালীর সমস্যা দূর করে এবং রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। মধুতে আছে প্রাকৃতিক চিনি যা শরীরে শক্তি যোগায় এবং কর্মক্ষম রাখে।মধু আমাদের হজমের সমস্যা নিরাময় করে থাকে।
তবে মধুতে এই সব কাজ তখনই হবে যখন মধু একদম খাটি হবে। খাটি মধু না হলে শরীরের কোন ওষধি গুণাগুণ কাজ করে না। আজকাল বাজারে যেসব মধু পাওয়া যায় তার বেশিরভাগ ভেজাল।
আর ভেজাল মধু দিয়ে কোন উপকার হয় না। বাজার থেকে খাটি মধু কেনা খুবই কঠিন। কারন সাধারনভাবে খাটি মধু ও ভেজাল মধু-এর ভেতরে পার্থক্য করা খুবই কঠিন।
আজ আমরা জানবো বাজার থেকে খাটি মধু ক্রয় করার উপায়-
১/ আগুনের পরীক্ষাঃ
খাটি মধু দাহ্য পদার্থ। মধুতে আগুন জ্বালানোর আগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিপূর্ণ করে সাবধান থাকতে হবে।
তবে পরীক্ষাটি অতি সাধারন। ম্যাচের একটা কাঠি মধুতে চুবিয়ে নিন। এবার এই কাঠি জ্বালাতে ম্যাচবক্সে আঘাত করুন। জ্বলে উঠলে মধু নিয়ে নিশ্চিত থাকতে পারেন। আর মধুতে ভেজাল থাকলে আগুন জ্বলবে না।
২/ বুড়ো আঙুলের পরীক্ষাঃ
প্রথমে সামান্য মধু আপনার বুড়ো আঙ্গুলে লাগিয়ে নিন। এরপর এটি অন্যান্য তরলের মতো ছড়িয়ে পড়ে কিনা দেখুন। যদি খাটি মধু হয় তবে এটি তরলের মতো ছড়িয়ে পড়বে না আর ভেজাল হলে ছাড়িয়ে পড়বে।
কিন্তু খাটি মধু ঘন হয়ে আটকে থাকবে। সহজে ছাড়াবেনা। আবার একটু বেশি পরিমাণ মধু নিয়ে বুড়ো আঙ্গুল উল্টো করে ধরে রাখলে তা সহজে ফোটা আকারে পড়বেনা।
৩/ পানির পরীক্ষাঃ
এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ মধু নিন। ভেজাল মধু শিগগিরই মিশে যাবে পানির সঙ্গে। কিন্তু আসল মধু মিশে গেলেও এর কিছু অংশ ঘন হয়ে ভেসে বেড়াবে পানিতে।
বিশেষ করে সামান্য অংশ তলানিতে পড়ে থাকবে। কিন্তু বাজে মানের মধু একেবারে হাওয়া হয়ে যাবে।
৪/ ভিনেগার পরীক্ষাঃ
এক টেবিল চামচ মধু, সামান্য পানি আর সেই মিশ্রণে দুই-তিন ফোঁটা ভিনেগার দিন। যদি এই মিশ্রণ ফোমের মতো ফেনিল হয়ে ওঠে, তাহলে বুঝতে হবে মধুতে অন্য কিছু মেশানো রয়েছে।
Leave a Reply