স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পেঁয়াজ পাতা
পেঁয়াজ এবং পেঁয়াজ পাতা – এ দুইটাই আমরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে থাকি। পেঁয়াজ পাতা কে আমরা পেঁয়াজের কলিঁ হিসেবে বেশি চিনি। পেঁয়াজের মতো পেঁয়াজ পাতা যে অসাধারণ গুণাবলির অধিকারী তা আমাদের অনেকেরই অজানা।
পেঁয়াজের পাতা অনেক ধরনের রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। চাইনিজ বা কন্টিনেন্টাল খাবারে পেঁয়াজের পাতা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ধারণা করা হয় ৫০০০ বছর আগে চিনে প্রথম উৎপন্ন হয় পেঁয়াজ পাতা।
পেঁয়াজ পাতা সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর। এতে উচ্চমাত্রায় সালফার থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই নরম পেঁয়াজে ক্যালরি কম থাকে।
ভিটামিনের উৎসঃ
পেঁয়াজ পাতা ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি১২ এবং থায়ামিন সমৃদ্ধ। পেঁয়াজের কন্দে ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-কে থাকে। এছাড়াও কপার, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ক্রোমিয়াম, ম্যাঙ্গনিজ ও ফাইবার থাকে। কোয়ারসেটিন নামক ফ্ল্যাভনয়েডের উৎস এই পেঁয়াজ পাতা।
আজকে আমরা পেঁয়াজ পাতার গুণাবলি ও উপকারিতা সম্পর্কে জানব-
উচ্চরক্তচাপ কমাতে সাহায্য করেঃ
পেঁয়াজ পাতার ভিটামিন-সি কোলেস্টেরল ও রক্ত চাপের উচ্চমাত্রাকে কমাতে সাহায্য করে যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
শ্বাসযন্ত্রের কাজে সহায়তা করেঃ
শ্বাসযন্ত্রের কাজে সহায়ক অ্যান্টি ভাইরাল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় পেঁয়াজ পাতা সাধারণ ঠান্ডা ও ভাইরাল ইনফেকশনের ঘরোয়া প্রতিকার হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শ্বাসযন্ত্রের কাজকে উদ্দীপিত করা ও কফ বের করে দিতে সাহায্য করে পেঁয়াজ পাতা।
চোখের দৃষ্টি রক্ষণাবেক্ষণ করেঃ
স্বাভাবিক দৃষ্টি রক্ষণাবেক্ষণ করা-লুটেইন ও জেনান্থিন নামক ক্যারোটিনয়েড-এর উপস্থিতির জন্য এটি চোখের প্রতিরক্ষায় প্রভাব বিস্তার করে। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং স্বাভাবিক দৃষ্টির রক্ষণাবেক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ভিটামিন-এ যা পেঁয়াজ পাতার সবুজ অংশে থাকে।
পাকস্থলীর জটিলতা প্রতিরোধ করেঃ
পাকস্থলীর জটিলতা প্রতিরোধ করে। সবুজ পেঁয়াজ পাতা গ্যাস্ট্রো ইন্টেস্টিনাল সমস্যা প্রশমনে উপকারী ভূমিকা রাখে।
হজমে সাহায্য করেঃ
পেঁয়াজ পাতায় বিদ্যমান উচ্চ মাত্রার ফাইবার খাদ্যবস্তু হজমে সহায়তা করে। অধিকন্তু রুচি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
অ্যাজমার চিকিৎসায়ঃ
পেঁয়াজ পাতায় অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি হিস্টামিন উপাদান থাকে যা আর্থ্রাইটিস ও অ্যাজমার চিকিৎসায় ভালো ফল দেয়। বিপাকে সহায়তা করে।
হাড়কে শক্ত করেঃ
পেঁয়াজ পাতায় উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন-সি ও ভিটামিন-কে থাকে যা হাড়ের স্বাভাবিক কার্যাবলীর জন্য প্রয়োজনীয়। ভিটামিন-সি কোলাজেনের সমন্বয় সাধনে কাজ করে যা হাড়কে শক্তিশালী করে।
অন্যদিকে ভিটামিন-কে হাড়ের ঘনত্ব রক্ষায় প্রধান ভূমিকা পালন করে।
ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়ঃ
সবুজ পেঁয়াজে অ্যালইন সালফাইড থাকে তা কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। সবুজ পেঁয়াজে ক্যানসার রোধী উপাদান ফ্ল্যাভনয়েড থাকে।
Md sayed
November 6, 2020 at 4:24 pm৫ ধরণের খাবার খেয়ে সুস্থ থাকুন শীতে
Md sayed
November 6, 2020 at 4:25 pmআসোন জেনে রাখি কাঁচা ছোলার উপকারীতা
Md sayed
November 6, 2020 at 4:26 pm৩০০ টি ঔষধি গুণসম্পন্ন সজিনার উপকারীতা সম্পর্কে কিছু কথা
Md sayed
November 7, 2020 at 12:09 pmহরেক রকমের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা রয়েছে কাজুবাদামে,জেনে রাখুন এর বিশেষ উপকারিতা