বাংলাদেশে স্থলপদ্ম একটি পরিচিত ফুল । এটি প্রায় সমগ্র দেশে পাওয়া যায় । স্থল পদ্ম স্থলেই জন্মে এবং বেড়ে ওঠে। নামের সঙ্গে পদ্ম শব্দটি যুক্ত থাকলেও এ ফুল কিন্তু পানিতে হয় না। রীতিমতো ডাঙার বড় গাছ। দেখতেও ভারি সুন্দর। রং বদলানোর অভ্যাস আছে বলেই ইংরেজি নাম চেঞ্জেবল রোজ। কারণ তাজা আর বাসি ফুলের রং আলাদা। শুধু স্থল পদ্মই নয়, এমন মজার কাণ্ড আরও অনেক ফুলই ঘটায়। আমাদের প্রায় সব বাগানেই দু’একটি স্থল পদ্মের গাছ দেখা যায়। তবে গ্রামের তুলনায় শহরে অনেক কম। ডাল কেটে পুঁতে দিলেই গাছ হয়ে ওঠে। বাড়েও খুব দ্রুত। স্থল পদ্ম চীনের গাছ। বছরে একবার পাতা ঝরায়। সাধারণত ৩ থেকে ৪ মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। এ গাছের গা-পাতা সবই খসখসে। পাতাগুলো বড় বড়, কিনারে থাকে কয়েকটি খাঁজ। বোঁটা বেশ লম্বা। ফুলও বড়, ৪ থেকে ১০ সেন্টিমিটার চওড়া। সাধারণত অনেকগুলো পাপড়ি থাকে। ফুলের রং গোলাপি বা সাদা। দেখতে দুধে-আলতা মেশানো রঙের মতো। কোথাও কোথাও পাঁচ পাপড়ির সিঙ্গেল ফুলও দেখা যায়। হালকা সুগন্ধি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গোলাপি রঙের এ ফুলগুলো লালচে রঙের হতে শুরু করে। ফুল ফোটে শরৎকাল থেকে শীতের প্রথমভাগ পর্যন্ত। অন্যান্য সময়ে দু’একটি ফোটে। ফুল ফোটে ডালের আগায়, মাত্র কয়েকটি। এই ফুল দেখতে যেমন সুন্দন তেমনি এর কিছু ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে । এখন এর ভেষজ গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে নেব :
উপকারিতা :
মেদ কমাতে :
প্রথমে স্থলপদ্ম গাছের মূল সিদ্ধ করে নিতে হবে । এরপর এই ক্বাথ হালকা গরম গরম করে এই অবস্থায় নিয়মিত সেবন করলে মেদ কমে যায় । এর ফলে মেদ এর সমস্যা দূর হয়ে যায় ।
মুখের ঘা নিরাময়ে :
স্থলপদ্ম পাতার রস করে নিতে হবে । এরপর এই রস নিয়মিত সেবন করলে মুখের ঘা নিরাময়ে ভালো উপকার পাওয়া যায় ।
বাতের ব্যথা নিরাময়ে :
বাতের ব্যথা হলে প্রথমে স্থলপদ্ম পাতা বেটে নিতে হবে । এরপর এটি উষ্ণ গরম করে বেদনা স্থানে প্রলেপ দিলে উপকার পাওয়া যায় ।
শ্বেতী রোগ নিরাময়ে :
স্থলপদ্ম ফুলের পাপড়ি বেটে নিতে হবে । এরপর এটি শরীরে শ্বেতী রোগে ভালো উপকার পাওয়া যায় ।
অনিদ্রা কাটাতে :
প্রথমে স্থলপদ্ম এর মূলের রস করে নিতে হবে । এরপর এটি নিয়মিত সেবন করলে অনিদ্রা রোগে ভালো উপকার পাওয়া যায় ।
Leave a Reply